মিরিঞ্জা পাহাড় যেন বাংলার ‘ভূ-স্বর্গ’
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১৮-১১-২০২৪ ০৯:৩৩:০২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-১১-২০২৪ ০৯:৩৩:০২ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
পাখির চোখে তাকালে মনে হবে সবুজের এক কার্পেট গোটা এলাকায় বিছিয়ে রাখা হয়েছে। চারদিকে উঁচু নিচু পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। বান্দরবান জেলার কোন উঁচু স্থান বা ভবন থেকে তাকালে এমন নজরকাড়া দৃশ্য বিমোহিত করবে যে কাউকে। বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পাহাড় যেন বাংলার ‘ভূ-স্বর্গ’। মিরিঞ্জা পাহাড় এখন পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে এটি এখন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
বান্দরবান জেলার দক্ষিণে- লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে- কক্সবাজারের রামু ও চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা, উত্তরে-বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়ন, পূর্বে-বান্দরবানের থানছি ও রুমা উপজেলা। রাত হলে মিটমিট করে জ্বলে উঠে সমগ্র এলাকার দূরের আলো গুলো। আলো আঁধারের এমন দৃশ্য কাছে টানে যে কাউকেই।
বান্দরবানের পর্যটন শিল্পে নতুনভাবে যোগ হয়েছে বেশ করেকটি পর্যটন স্পট। পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে, লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পাহাড়ে গড়ে উঠছে নতুন নতুন রিসোর্ট, কটেজ ও ভিউ পয়েন্ট। মিরিঞ্জা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় চারিদিকে সবুজে ঘেরা শুধু পাহাড় আর পর্বত। মেঘ ও কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়গুলোর সঙ্গে আকাশের মিতালি যেকোনো পর্যটকের নজর কেড়ে নিবে। বসে বসে বিরক্তহীন দিন-রাত কাটিয়ে দেওয়া যাবে এই পাহাড়ের চূড়ায়। দেখা যাবে লামা ও আলীকদম উপজেলাসহ কক্সবাজার জেলার সুদূরের বিস্তীর্ণ এলাকাসমূহ।
চারিদিকে সবুজ, উঁচু-নিচু পাহাড়। পূর্বদিকে তাকালেই লামা উপজেলা শহর। আরেকটু দূরে তাকালে আলীকদম উপজেলা এবং পশ্চিমে চোখ ফেললেই কক্সবাজার জেলা। রাত হলে দূরের বাতির আলোগুলো মিটমিট করে জ্বলে উঠে। সবই যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি।
মিরিঞ্জা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮শ ফুট উঁচুতে অবস্থিত লামা উপজেলার পর্যটন স্পটসমূহে বসে সময়ের ব্যবধানে দেখা যাবে পূর্বদিকের সূর্যোদয় এবং পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়ার দৃশ্য। প্রতি মুহূর্তে ভিন্ন ভিন্ন রক্তিম অবয়ব ধারণ করে এখানের পর্যটন স্পটগুলো।
বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা হতে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লামা উপজেলায় মিরিঞ্জা পাহাড়। উপজেলা শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে চকরিয়া-লামা সড়কের পাশে এই মিরিঞ্জা পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান।
লামা উপজেলার সুখীয়া ভ্যালি স্বত্বাধিকারী মো. জাহেদুল হাসান বলেন, বান্দরবানের জেলা ব্রেন্ডিং পর্যটন। এখানে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা তরুণ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করছি। তাই এ পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। সবার ইতিবাচক প্রচার প্রচারণা পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মারইংছা হিলের ব্যাবস্থাপক কায়সার আহমেদ টিটু বলেন, লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পাহাড়ে পর্যটকদের জন্য কোনো ঝুঁকি নেই। সীমান্তবর্তী উপজেলা না হওয়ায় এখানে কোন আতঙ্কের পরিবেশ নেই।
লামা উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, মিরিঞ্জা পাহাড় একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পানি, বিদ্যুৎ ও রাস্তার ব্যবস্থাসহ পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগ করা হয়েছে। শীঘ্রই এসবের সুফল পাওয়া যাবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স